কুকুরের জ্বরের ওষুধ: কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কুকুর এবং বিড়ালের জ্বরও একটি লক্ষণ যে তাদের শরীরের কার্যকারিতায় সমস্যা রয়েছে। কারণগুলি অনেকগুলি হতে পারে: ফ্লু, ওটিটিস, মূত্রনালীর সংক্রমণ, প্যানক্রিয়াটাইটিস, ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, অন্যান্য খাওয়া ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য অসংখ্য কারণ। অতএব, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে একটি পশুচিকিত্সকের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করা হয় এবং একটি কুকুরে জ্বরের ওষুধ নির্দেশ করা হয়।

প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কুকুর এবং বিড়ালের শরীরের তাপমাত্রা মানুষের থেকে আলাদা। স্বাভাবিক অবস্থায়, একটি কুকুরের তাপমাত্রা 38.5 থেকে 39.5 ডিগ্রির মধ্যে পরিবর্তিত হয়। বিড়ালদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 37.5°C থেকে 39.5°C এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। অতএব, যখন তাপমাত্রা 40 ডিগ্রির উপরে থাকে, তখন আমরা ইতিমধ্যে পোষা প্রাণীর জ্বর বিবেচনা করতে পারি। এবং, 41°C এর উপরে মনোযোগ দিন, জ্বর কিটির অঙ্গগুলির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রাণীর জ্বর আছে কিনা তা জানার সবচেয়ে সঠিক উপায় হল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা। কুকুরের ক্ষেত্রে, এটি একটি মলদ্বার বা কানের থার্মোমিটার দিয়ে করা যেতে পারে এবং বিড়ালের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি মলদ্বার থার্মোমিটার দিয়ে করা যেতে পারে। যাইহোক, বাড়িতে তাপমাত্রা পরিমাপ করার সুপারিশ করা হয় না। যদি থার্মোমিটারটি সঠিকভাবে পরিচালনা না করা হয় তবে এটি অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং এমনকি পশুকে আঘাত করতে পারে। অতএব, এটি সুপারিশ করা হয় যে এই পদ্ধতিটি একজন পশুচিকিত্সক দ্বারা করা হয়।

আপনার পোষা প্রাণীর জ্বর আছে কিনা তা কীভাবে জানবেন?

কুকুর এবং বিড়ালসাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা দেয়:

• উদাসীনতা
• ক্ষুধার অভাব
• তন্দ্রা
• কম্পন
• বমি
• ডায়রিয়া
• দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস

কুকুরেরও অতিরিক্ত পানি খাওয়া হতে পারে। এছাড়াও, বিড়ালের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব ঘটতে পারে।

কুকুরে জ্বরের চিকিৎসা

জ্বরের চিকিৎসা সমস্যাটির উৎপত্তি অনুসারে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি এটি অন্যান্য ওষুধের প্রতিক্রিয়া হয় তবে ওষুধটি প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। যদি এটি ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়া হয় তবে একটি অ্যান্টিপাইরেটিক নির্দেশিত হতে পারে। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে, সংক্রমণের জন্য ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, ইত্যাদি নির্ধারিত হয়। অতএব, সর্বোত্তম চিকিৎসা জানার জন্য, জ্বরের কারণ শনাক্ত করার জন্য আপনার পশুকে পশুচিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

আমি কি প্রাণীকে ডাইপাইরোন দিতে পারি?

অনেকে প্রশ্ন করে যে তারা প্রাণীকে ডাইপাইরোন দিতে পারে, যা মানুষের জন্যও ব্যবহৃত হয়। Dipyrone হল একটি নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ যা জ্বর এবং ব্যথা উপশম করতে কাজ করে এবং মানুষের দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি পোষা প্রাণীর চিকিত্সার জন্যও নির্দেশিত, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ডোজটি পশুচিকিত্সকের দ্বারা সঠিকভাবে গণনা করা হয়, কারণ গণনার একটি ত্রুটি পোষা প্রাণীর নেশার কারণ হতে পারে।

পশুচিকিত্সকের দ্বারা নির্দেশিত ওষুধ পরিচালনা করার সময় , ফোঁটায় ওষুধকে অগ্রাধিকার দিন। সম্ভব হলে সাথে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করুনপ্রশাসনের সুবিধার্থে জল, এবং আপনার বিড়াল ওষুধটি গ্রাস করেছে তা নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থাকুন। উপরন্তু, বিড়ালদের ক্ষেত্রে কিছু যৌগ দিয়ে ফেনা করা খুবই সাধারণ ব্যাপার।

এছাড়া, আপনার পশুর আচরণের দিকে মনোযোগ দিন এবং যদি আপনি কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলে একজন পশুচিকিত্সকের কাছে যান।

কোবাসি প্রাণীর স্বাস্থ্যে বিশেষজ্ঞ! আপনি কি কুকুরের জ্বরের ওষুধ সম্পর্কে পড়তে পছন্দ করেন? আপনার পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়ার বিষয়ে আরও পড়লে কেমন হয়?

• স্বাস্থ্য এবং যত্ন: পোষা প্রাণীর অ্যালার্জির জন্য চিকিত্সা রয়েছে!
• ফ্লি কলার: আপনার পোষা প্রাণীর জন্য কোনটি ব্যবহার করা ভাল?
• পারভোভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং চিকিত্সা
• ডায়রিয়া সহ বিড়াল এবং কুকুর: কী করবেন?